শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে চাঁদার দাবি না পেয়ে হত্যা তিস্তা ভবন রংপুরে স্পার বাঁধের ভাঙন রোধের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে “তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সিজান এবং রোহানের উপরে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের মস্তকবিহীন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন! লালমনিরহাটে মাইকিংয়ের পর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নিয়োগ স্থগিত লালমনিরহাটে কাঁঠালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা! লালমনিরহাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হাসিনার ঘাতক স্বামী আশরাফুল ইসলাম আটক
গ্রামীণ খেলাধূলা লালমনিরহাটে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে

গ্রামীণ খেলাধূলা লালমনিরহাটে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে

কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক কিছুই। তেমনই হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেলাধূলাও। অনুরূপভাবেই লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধূলা আজ বিলুপ্তির পথে।

 

এখানকার অত্যন্ত জনপ্ৰিয় খেলাগুলোর মধ্যে ছিল হা-ডু-ডু, ফুটবল, হেন্ডবল, কানামাছি, দাড়িয়াবান্দা, লুডু, কাবাডি ইত্যাদি খেলা কালের বিবর্তণে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ মাত্র ১০বছর হতে ১৫বছর আগেও প্রতিটি গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ মাঠ এমনকি ধান কাটার পর খালি মাঠে এবং বাড়ীর পাশের খালি জায়গায় পর্যন্ত চলতো বিশেষ করে হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার তীব্র প্রতিযোগিতা।

 

এসব খেলায় স্বর্ণ-রোপ্য দিয়ে তৈরি কাপ এমনকি ছাগল (খাসি), গরু, রঙিন টেলিভিশন পর্যন্ত উপহার দেয়া হতো। কতোই না মজা হতো যখন এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রাম, এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন কি বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার উৎসুক জনতা এ সব প্রতিযোগিতা দেখে কতই না আনন্দ উপভোগ করতেন।

 

শুধু যে গ্রামে তা কিন্তু নয়, শহরের ছোট ছোট ছেলেরাও হা-ডু-ডু এবং ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো। এ সব খেলায় দূর-দূরান্ত থেকে ভালো ভালো খেলোয়ারকে আনা হতো পক্ষে খেলে দেয়ার জন্য যাকে স্থানীয় ভাষায় “হায়ার” বলা হয়। যাদেরকে খেলার জন্য হায়ারে আনা হতো তাদের খাওয়ানো হতো জামাই আদরে এবং দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা উপঢৌকন। অনুরূপ খেলা ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু। বর্তমান এই যুগে যার স্থান দখল করে নিয়েছে বলতে গেলে ক্রিকেট খেলা। এসব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে মনে হবে রূপকথার গল্পের মতো। সে সময়তো স্কুল- মাদ্রাসা-কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে এসে নিয়মিত বিকালে বাড়ীর পার্শ্বে মাঠে, বাড়ীর উঠানে এ সব খেলা খেলতো। আজ আর সেই দিন নেই! নেই আগের সে সব গ্রামীণ খেলাধূলা। তবে এখন ও কিছু কিছু হা-ডু-ডু, ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলা চোখে পড়ে। তাও কালেভদ্রে।

 

এ ব্যাপারে এক সময়ের হা-ডু-ডু খেলোয়াড় পঞ্চাশর্ধ্ব নায়েব আলী বলেন, আগের দিনে আমরা মৌসুমে প্রায় দিনই এ খেলা খেলতাম। আমি ভাড়ায়ও দূর-দূরান্ত গ্রামে খেলতে যেতাম। যেসব এলাকায় এ খেলার অনুষ্ঠান হতো সেই সব এলাকায় ঈদের মতো আমেজ বইতো। এখন আর আগের মতো হা-ডু-ডুসহ অন্যান্য খেলা দেখা যায় না।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone